২০১৮ সালের রাতের ভোটে নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য করায় জাপানি রাষ্ট্রদূতকে বার্তা
বিশেষ প্রতিবেদন
ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকির সাম্প্রতিক বক্তব্যের জন্য তাকে ডেকে ‘বার্তা’ দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে কী বার্তা দেয়া হয়েছে, সে বিষয়ে কিছুই জানা যায়নি। বাংলাদেশের একাদশ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে জাপামী রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি গতকাল মন্তব্য নিয়েই এতো লোড়পাড় সৃষ্টি হয়েছে। ‘২০১ ৮ সালে দিনের ভোট রাতে হয়েছে, এমন ঘটনা পৃথিবীর আর কোথায় তিনি শোনেন-নি’- এমন বক্তব্যে পরই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আজ প্রতিক্রিয়া দিয়েছে।
বুধবার (১৬ নভেম্বর) পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানিয়েছেন। প্রতিমন্ত্রী বিকেলে দেয়া এক পোস্টে লেখেন, ‘আমরা বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের অ্যাম্বাসেডরকে ডেকেছিলাম। তাকে যা যা বলা দরকার আমরা বলেছি। সবকিছু বিস্তারিত গণমাধ্যমে বলার প্রয়োজন আছে বলে আমরা মনে করি না। তাই এ বিষয়ে কোনো গণমাধ্যমে আমরা আর কোনো বক্তব্য দিতে চাই না।’
শাহরিয়ার আলম আরও লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্ক আরও গভীর হবে আসন্ন প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের মধ্য দিয়ে। এ প্রত্যাশায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এই সফর বাংলাদেশ ও জাপানের সাধারণ মানুষের উপকারে আসবে বলে আশা করি।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) জাপানের রাষ্ট্রদূতকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ডাকা হয়েছিল। সেখানে এ বিষয়ে ঢাকার বার্তা জানানো হয়েছে। এছাড়া আসন্ন প্রধানমন্ত্রীর সফর নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এর আগে, গত ১৪ নভেম্বর রাজধানীতে ‘মিট দ্য অ্যাম্বাসেডর’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে বৈশ্বিক মতামতের একটা গুরুত্ব আছে। জাপান ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর পর উদ্বেগ জানিয়েছিল। আমরা নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভরে রাখার কথা শুনেছি, যা পৃথিবীর আর কোথাও শুনিনি। আমি আশা করব, এবার তেমন সুযোগ থাকবে না বা এমন ঘটনা ঘটবে না।’
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) ও জার্মানির গবেষণা প্রতিষ্ঠান ফ্রেডরিক-এবার্ট-স্টিফটুং, বাংলাদেশ (এফইএস, বাংলাদেশ) যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ওই অনুষ্ঠানে ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে ইতো নাওকি এসব কথা বলেন।